প্রকাশ :
২৪খবর বিডি: 'ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) কিছুটা ত্রুটি আছে বলে মন্তব্য করেছেন সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা। গতকাল এফডিসিতে আয়োজিত ‘বর্তমান নির্বাচন কমিশনের অধীনে গ্রহণযোগ্য জাতীয় নির্বাচন সম্ভব’ শীর্ষক বিতর্ক প্রতিযোগিতায় তিনি এ মন্তব্য করেন।'
'নূরুল হুদা বলেন, একটা জায়গায় ইভিএমে ত্রুটি আছে। ব্যালট ইউনিটকে টেকনোলজির আওতায় আনা যায়নি। এটা কমপ্লিসিটির (জটিলতার) জন্য। এখানেও ফিঙ্গার প্রিন্টের ব্যবস্থা থাকলে ভালো হতো। তবে, যদি পোলিং এজেন্ট, প্রিজাইডিং অফিসার ও প্রশাসন সতর্ক থাকে, তাহলে এই সমস্যাটি এড়ানো সম্ভব। এ ছাড়া সকল কেন্দ্রগুলোতে যদি সিসি ক্যামেরা ব্যবহার করা যায় তাহলেও হয়তো সমস্যাটি এড়ানো যাবে।
'নূরুল হুদা বলেন, বিএনপি একটি বড় রাজনৈতিক দল। তাদের বাইরে রেখে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আশা করা যায় না। এজন্য বিএনপিকে নির্বাচনের মাঠে আনতে হবে এবং সেই দায়িত্ব সরকারকে নিতে হবে। বিএনপি’র প্রতিও আমার অনুরোধ থাকবে নির্বাচন বয়কট করে সমস্যার সমাধান হবে না।
আপনারা ঠিক করুন কীভাবে আপনারা নির্বাচনে যাবেন। আপনাদেরকে নির্বাচনে আসার আহ্বান জানাচ্ছি।
তিনি বলেন, আমি বর্তমান নির্বাচন কমিশনের প্রতি আস্থাশীল। তারা যেভাবে শুরু করেছে। সকল রাজনৈতিক দল ও মানুষের উচিত তাদেরকে সহযোগিতা করা। যদি তাদেরকে সহযোগিতা করা হয়, তাহলে তারা একটা গ্রহণযোগ্য নির্বাচন দিতে পারবে।
-ইভিএমের ভুল ধরতে পারলে ১০ মিলিয়ন ডলার পুরস্কার দেয়া হবে বর্তমান নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মো. আনিছুর রহমানের বক্তব্য প্রসঙ্গে তিনি বলেন, অনেক সময় মুখ ফস্কে ভুল কথা বের হয়ে যায়। এটাকে গুরুত্ব দিয়ে দেখার কোনো দরকার নেই। ইভিএমের বিষয়ে তার অনেক আস্থা রয়েছে, এ জন্য হয়তো এ কথা বলে থাকতে পারেন।
দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন পরিচালনা করা ইসির চ্যালেঞ্জ
'সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে ব্যর্থ হলে বর্তমান নির্বাচন কমিশনকে পদত্যাগ না করে দায়িত্ব পালন করে যাওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হলে, পদত্যাগ কাপুরুষের কাজ বরং দায়িত্বে থেকে দায়িত্ব পালন করা উচিত। বন্দুকের নল এবং লাঠি উঁচিয়ে ভোটের কালচার থেকে বের হয়ে আসতে হবে।
তিনি বলেন, স্বাধীন দেশে ভোটকেন্দ্রে কেন প্রশাসন থাকতে হবে। নির্বাচনের সময় ১২টি সংস্থা দিয়ে ভোট করার নিয়ম পৃথিবীর কোথাও নাই। এসব বন্ধ হলে গণতন্ত্র রক্ষা হবে বলে এসময় মন্তব্য করেন সাবেক এ প্রধান নির্বাচন কমিশনার।
পাঁচ বছর দায়িত্ব পালনকালে এক অস্বস্তি নিয়ে ছিলেন বলে জানিয়েছেন সাবেক এই সিইসি। তিনি বলেন, দায়িত্ব পালনকালে কোনো চাপ সৃষ্টি হয়নি। তবে জাতীয় নির্বাচনের সময় কোথাও কোথাও শতভাগ ভোট কাস্ট হওয়ায় অস্বস্তিতে পড়তে হয়েছিল। এ সময় তিনি এই সমস্যার জন্য প্রার্থীদের আদালতের শরণাপন্ন হতে বলেন।'